বাংলাদেশে ডিবিবেটে কীভাবে খেলবেন ও বেট করবেন?

ডিবিবেট বাংলাদেশে অনলাইনে ক্রিড়া বেটিং আর ক্যাসিনো গেমকে এক জায়গায় নিয়ে আসে, যাতে আপনি নিজের গতিিতে খেলতে পারেন। এখানে ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি সহ জনপ্রিয় সব খেলায় অডস দেখে সহজেই বেট দিতে পারেন, পাশাপাশি স্লট, ক্র্যাশ গেম আর লাইভ ডিলার টেবিলও সব সময় খোলা থাকে। লাইভ বেটিং ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে, তাই ম্যাচ চলার সময়ও সিধান্ত বদলানো ও নতুন বেট দেওয়া সম্ভব। প্রতিটি ধাপে বিস্তারিত গেমিং নিয়ম মনে হয়, আর আপনি সব সময় ব্যয়ের সীমা নিজের মতো ঠিক করে রাখতে পারেন। নিচের বোতাম থেকে সরাসরি নিবন্ধন বা অ্যাপ ডাউনলোড করে শুরু করা যায়।

বাংলাদেশি ডিবিবেট সাইটের হোমপেজে ক্রিকেট, ফুটবল ও ক্যাসিনো গেমের বেটিং অপশন ও রেজিস্ট্রেশন বোতাম প্রদর্শিত

ডিবিবেটে কীভাবে স্পোর্টসে বেট করবেন

বাংলাদেশ থেকে ডিবিবেট অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপে স্পোর্টসে বেট করা মোটেও কঠিন নয়, কয়েকটি সহজ ধাপ জানলেই তা নিয়মিত অভ্যাসে চলে যায়। এখানে ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি বা অন্য যে কোনো খেলায় বেট দেওয়ার আগে নিজের বাজেট ঠিক রাখা আর প্রতিটি অডস বোঝা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

1

ধাপ ১: এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ ও লগইন

১ নম্বর কাজ হলো ডিবিবেট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসা বা অ্যাপ খুলে নেওয়া। হোমপেজে এসে ডান দিকে উপর থেকে “লগ ইন” বা “সাইন আপ” বাটনে ক্লিক করুন। আগে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে সহজে মোবাইল নম্বর বা ইমেইল আর পাসওয়ার্ড লিখে লগইন করুন। নতুন হলে রেজিস্টার অপশন থেকে সম্পূর্ণ ফরম পূরণ করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। পরের ধাপগুলোর জন্য একটি স্ক্রিয়, ভেরিফাইড প্রোফাইল প্রয়োজন।

2

ধাপ ২: স্পোর্টস সেকশন নির্বাচন ও ম্যাচ খোঁজা

লগইনের পর মুল মেনু থেকে “স্পোর্টস” বা “লাইভ স্পোর্টস” সেকশন আছে কিনা দেখুন। খেলাগুলোর তালিকা থেকে ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি বা পছন্দের অন্য যে কোনো স্পোর্ট নির্বাচন করুন। এবার দেশ, টুর্নামেন্ট বা লিগ অনুযায়ী ম্যাচ ফিল্টার করুন, যেমন বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগ বা আন্তর্জাতিক সিরিজ। প্রতিটি ম্যাচের পাশে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বেটিং মার্কেট আর আপডেটেড অডস দেখা যাবে।

3

ধাপ ৩: অডস তুলনা করে বেট সিলেক্ট করা

পছন্দের ম্যাচে ক্লিক করলে ফুল মার্কেট খুলবে। এখানে ম্যাচ ফল, ওভার/আন্ডার রান, গোল সংখ্যা, হ্যান্ডিক্যাপ, প্লেয়ার পারফরম্যান্সসহ অনেক রকম অপশন থাকে। আপনি আগে যে ধরনের ফ্লাফল খুঁজেন, সে গুলো থেকে শুরু করে নিন। যে রেজাল্টে বেট দিতে চান তার পাশে অডসে ক্লিক করলে তা ডানের বেট স্লিপে চলে যাবে। প্রয়োজনে একাধিক মার্কেট থেকে সিলেকশন যোগ করে সিঙ্গেল বা এক্সপ্রেস বেট তৈরিও করা যায়।

4

ধাপ ৪: বেট স্লিপে পরিমাণ নির্ধারণ ও নিশ্চিতকরণ

বেট স্লিপ খুলে প্রতিটি বেটের পাশে টাকার পরিমাণ লিখুন। আগে থেকে ঠিক করা দৈনিক বা সাপ্তাহিক সীমার বাইরে কখনো যান না। স্লিপে সম্ভাব্য জয়ের হিসাব বাংলাদেশি টাকা দেখায়, যা অডস ও আপনার বেটের অঙ্ক ধরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়। সব তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে, শর্ত মানলে “বেট কনফার্ম” বাটনে চাপুন। কনফার্ম হওয়ার পর বেট হিস্টোরিতে সেটি দেখতে পাবেন।

5

ধাপ ৫: লাইভ ম্যাচ ফলো করা আর ক্যাশআউট অপশন দেখা

বেট কনফার্ম হয়ে গেলে ম্যাচ সেন্টার থেকে সরাসরি ইভেন্ট লাইভ ফলো করুন। স্কোর, মিনিট, ওভার, বল-বাই-বল বা পরিসংখ্যান দেখে বোঝার চেষ্টা করুন আপনার বেট কোন দিকে যাচ্ছে। অনেক মার্কেটে আগেভাগে ক্যাশআউট সুবিধা থাকে, যেখানে পূর্র্ন সময়ের আগে বেট বন্ধ করে আংশিক লাভ ধরে রাখা বা ক্ষতি কমানো সম্ভব। নিঝের কৌশল আর ঝুঁকি-বোধ অনুযায়ী ক্যাশআউট নেবেন কি না তা এই পর্যায়ে স্থির করতে পারেন।

ডিবিবেটে কীভাবে ক্যাসিনো গেম খেলবেন

স্পোর্টস বেটিংয়ের পাশাপাশি ডিবিবেটে অনলাইন ক্যাসিনো গেম খেলা মানে হলো স্লট, ক্র্যাশ গেম, টেবল গেম আর লাইভ ডিলার রুমে নিয়মিত অভিজ্ঞতা পাওয়া। যেকোনো গেম শুরু করার আগে নিজের সীমা ঠিক রাখা আর নিয়ম পড়ে নেওয়া খুবই জরুরি, যাতে আপনি দায়িত্বশীলভাবে খেলে নিরাপদ কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।

1

ওয়েবসাইটে এসে “ক্যাসিনো” বা “লাইভ ক্যাসিনো” তে ক্লিক করুন

হোমপেজ থেকে সরাসরি ক্যাসিনো মেনুতে যান। এখানে থেকে স্লট, জ্যাকপট, ক্র্যাশ গেম বা লাইভ ডিলার আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। নতুন হলে জনপ্রিয় বা “নতুন” ট্যাগ দেওয়া টাইটেল থেকে কয়েকটি গেম দেখে নিতে পারেন।

2

গেমের তথ্য পড়ে বেট সীমা ঠিক করুন

প্রতিটি গেমে প্রবেশের আগে তথ্য বা “i” আইকনে ক্লিক করে পে-আউট টেবিল, নিয়ম আর মিনিমাম-ম্যাক্সিমাম বেট দেখুন। এখানে বোঝা যাবে গেমটি আপনার বাজেট ও ঝুঁকি সহ্যক্ষমতার সঙ্গে মানায় কি না। তারপর নিচের দৌনিক বা সেশন সীমা মনে রেখে বেট রেঞ্জ নির্ধাচন করুন।

3

ডেমো বা কম বাজি থেকে শুরু করুন

অনেক স্লট বা ক্র্যাশ গেমে ট্রায়াল হিসেবেও কম টাকার বেট রাখার সুবিধা থাকে। প্রথম দিকে কম অঙ্কে কয়েক রাউন্ড খেলুন, অ্যানিমেশন, পে-আউট আর বোনাস ফিচার কীভাবে কাজ করে দেখুন। নিয়ম বুঝে গেলে ধীরে ধীরে অঙ্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা নিঝের পরিকল্পনা ভেঙে নিন।

4

লাইভ ডিলার টেবিলে যোগ দিয়ে নিয়মিত প্লে করুন

যদি রুলেট, ব্যাকারেট বা ব্ল্যাকজ্যাক পছন্দ হয়, তবে “লাইভ ক্যাসিনো” সেকশন থেকে টেবিল বেছে নিতে পারেন। টেবিলে ঢুকে ডিলারের ভয়েস, টেবিল সীমা আর গেমের নিয়ম স্পষ্টভাবে দেখা যায়। চ্যাটে টেবিলের নিয়ম নিয়ে ছোট প্রশ্ন করেও পরিষ্কার হওয়া যায়, তারপর বেট স্পটগুলোতে চিপ রেখে গেমে অংশ নিন।

5

প্রতিটি সেশনের শেষে ব্যালান্স ও ইতিহাস পরীক্ষা করুন

খেলা শেষ হলে প্রোফাইলের “লেনদেন” বা “বেট হিস্টোরি” অংশে গিয়ে দেখুন কোন গেমে কত খরচ করেছেন আর কী রিটার্ন পেয়েছেন। এভাবে কিছুদিনের ডেটা দেখে নিজের গেম পছন্দ আর ঝুঁকি অভ্যাস বুঝতে পারবেন, যাতে পরে দিন স্বাভাবিক খেলা শুরু করার আগে ব্যালান্স সঠিকভাবে শুরূ করা সহজ হয়।

ডিবিবেটে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশ থেকে ডিবিবেটে রেজিস্ট্রেশন করা সম্পূর্ণ অনলাইন, যেখানে কয়েকটি মৌলিক তথ্য দিয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি এমনভাবে সাজানো যে মাত্র কয়েক মিনিটে একটি ব্যবহারযোগ্য প্রোফাইল তৈরি হয়ে যায়।

1

এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে “রেজিস্টার” বাটনে ক্লিক করুন

হোমপেজের ডান দিকে উপরে থাকা “সাইন আপ” বা “রেজিস্টার” বাটন চাপুন। চাইলে অ্যাপ থেকেও একই বাটনে যেতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন ফরম খোলার পর দেশের নাম বা বাংলাদেশ ঠিকভাবে সিলেক্ট হয়েছে কি না দেখে নিন।

2

মৌলিক তথ্য পূরণ ও কন্টাক্ট ডিটেইল যুক্ত করুন

ফরমে মোবাইল নম্বর, ইমেইল, পূর্ণ নাম ও জন্মতারিখ দিন। সব তথ্য নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দিন, যাতে পরে ভেরিফিকেশনে সমস্যা না হয়। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করুন এবং তা নিরাপদে নিজের কাছে রাখুন।

3

মুদ্রা ও ভাষা নির্বাচন করুন

পেমেন্ট করার সময় যাতে সুবিধা হয়, সে জন্য বাংলাদেশি টাকা হিসেবে নির্ভাচন করুন যদি অপশন দেওয়া থাকে। ইন্টারফেস ভাষা হিসেবে বাংলা বা ইংরেজি যে ভাষায় স্বাচ্ছন্দ্য, সেটি বেছে নিন। ভাষা সেটিং পরে অ্যাকাউন্ট সেটিংস থেকেও পরিবর্তন করা যায়।

4

শর্তাবলি পড়ে সম্মতি দিন

রেজিস্ট্রেশনের শেষ অংশে দায়িত্বশীল গেমিং নীতিমালা, গোপনীয়তা নীতি আর সাধারণ শর্তাবলি দেখা নিন। আপনি যে প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্থায়ী বাসিন্দা এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার অনুমতি আছে, তা নিশ্চিত করুন। তারপর সংক্ষ্লিষ্ট টিকবক্সে টিক দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সাবমিট করুন।

5

মোবাইল বা ইমেইল কনফার্ম করুন

রেজিস্টার করার পর আপনার মোবাইল বা ইমেইলে একটি কোড বা কনফার্মেশন লিংক পাঠানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কোড অ্যাকাউন্ট সেটিংসে লিখে যাচাই করুন, অথবা লিংকে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করুন। এই কনফার্মেশন শেষ না করলে অনেক ফিচার যেমন ডিপোজিট বা উত্তোলন পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে না।

ডিবিবেটে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া

ডিবিবেটে বেটিং করার আগে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা মানে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করা এবং লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য এই ধাপটি আইনি নিয়ম মানা ও নিরাপদ পেমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

1

প্রোফাইল থেকে ভেরিফিকেশন সেকশনে যান

লগইন করে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন এবং “অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন” বা সমজাতীয় মেনু নির্ভাচন করুন। এখানে কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন এবং আপলোডের নিয়ম দেখতে পারবেন।

2

জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ছবি দিন

পরিচয় নিশ্চিত করতে সাধারণত এনআইডি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়। ডকুমেন্টের সামনের আর প্রয়োজনে পেছনের দিকের পরিষ্কার ছবি তুলুন। ছবিতে নাম, জন্মতারিখ, ছবি ও নম্বর স্পষ্ট থাকতে হবে।

3

ঠিকানার প্রমাণ আপলোড করুন

কিছু ক্ষেত্রে ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা টেলিফোন বিল লাগতে পারে। কাগজটি সাম্প্রতিক এবং আপনার নাম ও ঠিকানা ডিবিবেট অ্যাকাউন্টের তথ্যের সঙ্গে মিল আছে কি না পরীক্ষা করে আপলোড করুন।

4

সেলফি বা লাইভ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন

নিরাপত্তার জন্য মাঝে মাঝে সেলফি তুলতে বা ক্যামেরার সামনে ডকুমেন্ট ধরে রাখতে বলা হতে পারে। স্ক্রিনে দেওয়া গাইডলাইন মেনে ছবি তুলুন যাতে মুখ আর ডকুমেন্ট দুটোই স্পষ্ট দেখা যায়। এতে করে কেউ আপনার নাম ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না।

5

রিভিউ স্ট্যাটাস চেক করুন

সব ডকুমেন্ট পাঠানোর পর ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস প্রোফাইলে দেখতে হবে। রিভিউ সম্পন্ন হলে ইমেইল বা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানানো হয়। অনুমোদন পাওয়ার পর বড় অঙ্কের ডিপোজিট, বোনাস, আর নিয়মিত উত্তোলন কার্যক্রমে চ্যালেঞ্জ ছাড়া যাওয়া যায়।

ডিবিবেটে টাকা জমা দেওয়ার পদ্ধতি

বাংলাদেশে ডিবিবেট অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করা মানে আপনার খেলায় ব্যবহার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট ব্যালান্সে যোগ করা। প্রতিটি লেনদেনে নিরাপদ পেমেন্ট চ্যানেল আর স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ থাকে।

  1. লগইন করে “ডিপোজিট” বা “ব্যালান্স যোগ করুন” বাটনে ক্লিক করুন
    হোমপেজ বা প্রোফাইল থেকে পেমেন্ট সেকশনে প্রবেশ করুন। এখানে সব উপলব্ধ ডিপোজিট অপশন এক জায়গায় দেখা যায়।
  2. পছন্দের পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করুন
    বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক কার্ড, অনলাইন ওয়ালেট বা অন্য স্থায়ী সিস্টেম থাকতে পারে। যে পদ্ধতিটি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন এবং যেখানে টাকা আসে-যায় নিরন্তরভাবে রাখতে সহজ, সেটি বেছে নিন।
  3. ডিপোজিট অ্যামাউন্ট লিখে কনফার্ম করুন
    নির্ধারিত মিনিমাম ও ম্যাক্সিমাম সীমার মধ্যে থেকে টাকার অঙ্ক লিখুন। নিঝের দৈনিক বা সাপ্তাহিক বেটিং বাজেটের বাইরে কখনো যান না। পরের স্ক্রিনে পেমেন্টের সারাংশ দেখে “কনফার্ম” চাপুন।
  4. পেমেন্ট গেটওয়েতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিন
    আপনি যে পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন, তার মোটাবেক কার্ড নম্বর, মোবাইল নম্বর বা ওয়ালেট আইডি লিখুন। ওটিপি বা পিন প্রয়োজনে সঠিকভাবে দিন, যাতে পেমেন্ট সার্ভিসের অফিসিয়াল পেজে গিয়ে দেওয়া হয়। এই ধাপ ডিবিবেটের সার্ভারে জমা না হয়ে সরাসরি প্রোভাইডারের নিরাপদ প্রক্রিয়ায় থাকে।
  5. ব্যালান্স আপডেট হয়েছে কি না পরীক্ষা করুন
    পেমেন্ট সফল হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিবিবেট ব্যালান্সে টাকা দেখা যাবে। প্রোফাইলের লেনদেন ইতিহাসে গিয়ে ডিপোজিট এন্ট্রি দেখে নিন। যদি যুক্ত হতে দেরি হয়, তাহলে একটি পেমেন্ট রিকুয়েস্ট আবার পাঠানোর আগে পূর্বর স্ট্যাটাস নিশ্চিত করুন।
বাংলায় ডিবিবেট ডিপোজিট গাইড: লগইন, পেমেন্ট পদ্ধতি বাছাই, এমাউন্ট লিখে কনফার্ম ফ্লোসহ ইলাস্ট্রেশন

ডিবিবেট থেকে টাকা উত্তোলনের নিয়ম

ডিবিবেটে জেতা বা অব্যবহৃত ব্যালান্স বাংলাদেশি ব্যাংক বা মোবাইল ওয়ালেটে তুলতে একটি সরল উত্তোলন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। অর্থ পেতে হলে সাধারণত ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট আর ব্যবহার করা পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো মিল থাকা জরুরি।

  1. প্রোফাইল থেকে “উত্তোলন” সেকশনে যান
    লগইন করার পর ব্যালান্সের ওপর ক্লিক করুন এবং “উইথড্র” বা “উত্তোলন” অপশন আছে কিনা দেখুন। এখানে আপনার জন্য খোলা উত্তোলন পদ্ধতির তালিকা দেখা যাবে।
  2. পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করুন
    ডিপোজিটে যে মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক কার্ড বা অনলাইন ওয়ালেট ব্যবহার করেছেন, সম্ভব হলে একই পদ্ধতি উত্তোলনের জন্য বেছে নিন। এতে ভেরিফিকেশন সহজ হয় এবং টাকা ফেরত যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
  3. উত্তোলন অঙ্ক লিখে রিকুয়েস্ট পাঠান
    উত্তোলন সীমা অনুযায়ী টাকার পরিমাণ লিখুন। বোনাস ব্যবহার করলে কোন শর্ত পূরণ করতে হবে তা দেখে নিন, প্রয়োজনে প্রথমে সেগুলো শেষ করুন। সব তথ্য ঠিক থাকলে রিকুয়েস্ট কনফার্ম করুন।
  4. পেমেন্ট ডিটেইল যাচাই করুন
    সিস্টেম প্রয়োজনে আবারও অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মোবাইল ওয়ালেট আইডি চাইতে পারে। ভুল নম্বর দিলে অর্থ ভুল ঠিকানায় যেতে পারে, তাই সাবধানে মিলিয়ে নিন। ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস পেন্ডিং থাকলে তা আগে সম্পন্ন করতে হতে পারে।
  5. প্রসেসিং টাইম শেষে অর্থ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে কিনা পরীক্ষা করুন
    উত্তোলন রিকুয়েস্ট পাঠানোর পর স্ট্যাটাস “প্রসেসিং” হিসেবে দেখা যাবে। পেমেন্ট পদ্ধতি অনুযায়ী কিছু সময় ধরে রিভিউ চলে, তারপর অর্থ নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। লেনদেন ইতিহাসে গিয়ে যে কোনো সময় এই স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।
বাংলা ইন্টারফেসে ডিবিবেট প্রোফাইল থেকে টাকা উত্তোলনের ধাপভিত্তিক নির্দেশনা দেখা যাচ্ছে

ডিবিবেটে বেটের ধরন

ডিবিবেটে স্পোর্টস বেটিং করার সময় একেকজন ব্যবহারকারী একেকভাবে ঝুঁকি আর সম্ভাবনা মিলিয়ে বেট দিতে পছন্দ করে। সেই জন্য এখানে একি ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বেট ফরম্যাট বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে।

  • সিঙ্গেল বেট: একটি ম্যাচ বা ইভেন্টে একটি মাত্র ফলা্ফলের ওপর বেট। উদাহরণ হিসাবে একটি ফুটবল ম্যাচে শুধু কোন দল জিতবে সেটার ওপর বেট দেওয়া। জিতলে অডস ও বেটের অঙ্ক গুণ করে পে-আউট হিসাব করা হয়, হারলে কেবল সেই একটি বেটই হারানো হয়।
  • সিস্টেম বেট: একাধিক সিলেকশন নিয়ে ছোট ছোট কম্বিনেশন তৈরি করা বেট। সব সিলেকশন সঠিক না হলেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলা্ফল ঠিক থাকলে কিছু অংশ জেতা সম্ভব হয়। নতুনদের জন্য আগে নিয়ম পড়ে কিছু অঙ্কে ট্রাই করা ভালো।
  • এক্সপ্রেস বেট: একাধিক ম্যাচ বা মার্কেটের সিলেকশন একসঙ্গে বেছে একটি বেট তৈরি করা। সব সিলেকশন ঠিক হলে অডস গুণ হয়ে বড় পে-আউট হতে পারে, তবে একটি ভুল হলে পুরো বেট হারানো হয়। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও এখানে প্রিমিত অঙ্কে বেট দেওয়া উচিত, একদিকে পুরো ঝুঁকি পূর্ণভাবে বেট দেওয়াাই নিরাপদ কৌশল।
ইলাস্ট্রেশন যেখানে সিঙ্গেল, সিস্টেম ও এক্সপ্রেস বেটের ঝুঁকি ও পে-আউট তুলনামূলকভাবে দেখানো হয়েছে

ডিবিবেটে বেটিংয়ের প্রধান ফ্লাফলের ধরন

ডিবিবেটে স্পোর্টসে বেট করার সময় একি ম্যাচে বিভিন্ন ভিন্ন ফ্লাফলের ধরন বেছে নিয়ে নিজের কৌশল সাজানো যায়। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য পরচিত ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি সহ বেশিরভাগ খেলায় সাধারণ কয়েকটি প্রধান ক্যাটাগরি ঘুরে ফিরে ফিরে দেখা যায়।

ম্যাচ ফল (ফুলটাইম রেজাল্ট)

এই ধরনের বেটে পুরো সময় শেষে ম্যাচের চূড়ান্ত ফ্লাফলের ওপর বেট দেওয়া হয়। ফুটবলে সাধারণত তিনটি অপশন থাকে: হোম দল জিতবে, ড্র হবে, অয়াওয়ে দল জিতবে। ক্রিকেতে দুই দলের একটিরে জিতে বা পরিত্যক্ত ম্যাচের নিয়ম আগে দেখে নেওয়া উচিত, টুর্নামেন্ট নিয়মের ওপর ভিত্তি করে টাই বা পরিত্যক্ত ম্যাচের নিয়ম আগে থেকেই শর্তে লেখা থাকে। অডস অনুযায়ী বেছে নেওয়া ফল মিললে বেট জেতে, না মিললে হারানো হয়।

ওভার/আন্ডার (মোট রান বা গোল)

এখানে নির্দিষ্ট একটি সংখ্যা দেওয়া থাকে, যেমন মোট গোল ২.৫ বা মোট রান ২৭৭.৫। আপনি ঠিক করেন ম্যাচে মোট গোল বা রান এই সংখ্যার ওপর যাবে নাকি নিচে থাকবে। দীর্ঘ সময় ফল নির্ধারিত না হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সামগ্রিক গতিিতে ফোকাস রাখতে চাইলে এমনকি এই ধরনের বেট পছন্দ করে। ম্যাচ শেষে মোট যোগফল আপনার বেছে নেওয়া ওভার বা আন্ডার লাইনের সঙ্গে তুলনা করে ফল নির্ধারণ হয়।

হ্যান্ডিক্যাপ বেট

হ্যান্ডিক্যাপ বেটে তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল দলকে একটি গোল বা শকতিশালী দলকে পিছেিয়ে দেওয়ার মতো কম্বিনেশন দিয়ে একটি বেজে নেওয়া যায়। সাধারণ সিঙ্গেল ম্যাচ ফ্লাফলেই একই সময়ে অডসও তুলনামূলক কম থাকে। ম্যাচ শেষে আপনার কভার করা দুটি দলের মধ্যে পার্থক্য যোগ-বিয়োগ করে বাস্তবে নতুন ফ্লাফলের নামের পাশে গোল থাকলে বেট জেতে, না থাকলে হারায়।

দুই সুযোগ (ডাবল চান্স)

এই ধরনের বেটে একটি বেটের মধ্যে দুইটি সম্ভব ফ্ল ফল কভার করা যায়। ফুটবলে যেমন হোম জিতবে বা ড্র, ড্র বা অয়াওয়ে জিতবে, হোম বা অয়াওয়ে জিতবে এরকম তিনটি কম্বিনেশন থেকে একটি বেছে নেওয়া যায়। ঝুঁকি সাধারণ সিঙ্গেল ম্যাচ ফ্লফলের চেয়ে কম থাকে, অডসও তুলনামূলক কম হয়। ম্যাচ শেষে আপনার কভার করা দুই ফ্লফলের যেকোনো একটি ঘটলে বেট জিতে যায়।

উভয় দল গোল করবে কিনা

ফুটবলে প্রচলিত এই মার্কেটে সহজে একটি প্রশ্নের জবাব দিতে হয়: দুই দলই কি অন্তত একটি করে গোল করবে? অপশন থাকে “হ্যাঁ” বা “না”। আপনি যদি আক্রমণাত্মক খেলার আশা করেন, তাহেলে “হ্যাঁ” বেছে নিতে পারেন, ডিফেনসিভ ম্যাচ ভাবলে “না”। ম্যাচ শেষে স্কোরলাইনে উভয় দলের নামের পাশে গোল থাকলে “হ্যাঁ” জেতে, না থাকলে “না” জেতে।

ইলাস্ট্রেশন: ফুটবল ও ক্রিকেট আইকনসহ ডিবিবেটে ম্যাচ ফল, ওভার/আন্ডার, হ্যান্ডিক্যাপ ও ডাবল চান্স বেট অপশন দেখানো

FAQ

প্রশ্ন ১: ডিবিবেটে বেটিং শুরু করতে ন্যূনতম কী দরকার?

উত্তর: প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে, একটি বৈধ মোবাইল নম্বর বা ইমেইল থাকতে হবে, আর নিজের নামের একটি পেমেন্ট মাধ্যম লাগবে। এগুলো থাকলে কয়েক মিনিটে রেজিস্ট্রেশন আর প্রাথমিক ডিপোজিট করে বেট শুরু করা যায়।

প্রশ্ন ২: বাংলাদেশি টাকায় কি সরাসরি ব্যবহার করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, প্রোফাইল তৈরির সময় বাংলাদেশি টাকা মুদ্রা হিসেবে বেছে নিলে ডিপোজিট, বেট আর উত্তোলন সব হিসাব এই মুদ্রায় দেখা যায়। এতে অডস থেকে সম্ভাব্য জয়ের হিসাব করা সহজ হয়।

প্রশ্ন ৩: বেট দেওয়ার পর কী পরিবর্তন করা যায়?

উত্তর: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কনফার্ম হওয়া বেট আর পরিবর্তন করা যায় না। তবে নির্দিষ্ট কিছু মার্কেটে ক্যাশআউট সুবিধা থাকে, যেখানে পুরো সময় শেষ হওয়ার আগে বেট বন্ধ করে কিছু অঙ্ক রাখা যায়।

প্রশ্ন ৪: যদি ইন্টারনেট সংযোগ কেটে যায় তাহলে কী হবে?

উত্তর: আপনি যদি বেট কনফার্ম করার সময় সংযোগ হারান, তখন পরে বেট হিস্টোরি চেক করুন বেট যুক্ত হয়েছে কি না। না হলে পুনরায় দেওয়ার আগে পৃষ্ঠাটি রিফ্রেশ করুন, যেন ডুপ্লিকেট বেট না পড়ে।

প্রশ্ন ৫: দায়িত্বশীল গেমিং মানে এখানে কী?

উত্তর: দায়িত্বশীল গেমিং মানে নিজের অর্থ সীমা জানা, খুব বেশি নিরোধনের উদ্দেশ্যে বেট করা আর ক্ষতি পোষাতে গিয়ে অঙ্ক না বাড়ানো। প্রয়োজনে ডিপোজিট লিমিট সেট করা, বিরতি নেওয়া বা নিঝের সময়ের জন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার কমিয়ে রাখা এই নীতির অংশ।

Updated: